Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

এক নজরে: 

বাংলাদেশের জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে শতাধিক বছর ধরে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। সমবায়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাদেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার তিনটি খাতের অন্যতম খাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের লক্ষে ১৯০৪ সালে সমবায় আন্দোলনের সূচনা হলেও বর্তমানে মৎস্য, দুগ্ধ, গৃহায়ন, ক্ষুদ্র ঋণ ও সেবা খাতের মত অন্যান্য অর্থনৈতিক সেক্টরে সমবায় কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে। বাংলাদেশে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং কমিউনিটি ভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহনে সমবায়ের অপরিসীম সুযোগ রয়েছে। তুলনামূলক সুবিধাসৃজনশীল সমবায় উদ্যোগকে সহায়তা করতে সমবায় অধিদপ্তর বদ্ধপরিকর। ই-গভরনেন্স সহজতর করা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এ ওয়েবসাইট আপনার চাহিদা পূরণ এবং সমবায়ের অর্থবহ উন্নয়নে সহায়তা করবে। এ ওয়েবসাইট এর আরও উন্নয়নে আপনার মূল্যবান মতামত/ পরামর্শ সাদরে গ্রহন করা হবে।

 

এক নজরে চিলমারী উপজেলা সমবায় কার্যালয়, চিলমারী, কুড়িগ্রাম এর তথ্য

         

          বাংলাদেশের উত্তর জনপদের কুড়িগ্রাম জেলার আওতাধীন চিলমারী উপজেলা। এ উপজেলার নামে নিয়ে অনেক ইতিহাস আছে, ঐতিহ্য আছে, আছে নিজেস্ব স্বকীয়তা ও বৈশিষ্ট্য। ১৮৫০ সালে চিলমারী থানা নামে একটি ভূ-খন্ডের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। জনশ্রুতি- ১ থেকে জানা গেছে, আজ থেকে কয়েক শত বছর পূর্বে চিলমারীর অধিকাংশ ভূ-খন্ডই ছিল বালু দিয়ে ঢাকা। তখন নাকি এই চিলমারী নামক বালু রাজ্যে প্রচুর চিনা আবাদ হতো। এই কারণে নাকি এই জায়গাটির নামকরণ হয়েছিল চিনামারী। এখানে ‘মারী’ শব্দটি জায়গা বা স্থান। সেই চিনামারীই নাকি কালের বিবর্তনে আজকের চিলমারী শব্দে পরিণত হয়েছে। জনশ্রুতি-২ থেকে জানা যায়, এককালে অত্র এলাকায় চিলা পাখির নাকি প্রচুর উপদ্রব দেখা দিয়েছিল। ধানী বা আবাদী জমিতে দল বেঁধে চিল পাখি উড়ে আসতো। নষ্ট করতো হাজার হাজার একর জমির ফসল। চিলের উপদ্রপে হাটে বাজারে স্বস্তিতে কেউ থাকতে পারতো না। সর্বত্রই চিল আতঙ্ক, জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। এসকল চিল পাখি ব্রহ্মপুত্র উপকূলে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াতো, বাস করতো বাঁশ ঝাড়ে, আম বাগান অথবা বটবৃক্ষের ডগায় চড়ে। জনশ্রুতি রয়েছে যদি কোন মানুষ ভুলেও একটি চিল পাখিকে হত্যা করেছে তো আর রক্ষা নেই। কোথা থেকে সঙ্গে সঙ্গে আসতো হাজার হাজার চিল পাখি। ছয় সাত দিন ধরে অত্যাচার চলতো ঐ মানুষটির বাড়ীর উপর। উপদ্রবের প্রতিকার চেয়ে তারা আবেদন করলো ব্রিটিশ সরকারের কাছে। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত এলো চিল পাখিগুলোকে হত্যা করার। এই সিদ্ধান্তের বার্তাটি পৌঁছে গেল কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায়। তাই তারা সংবাদ পাওয়া মাত্র তীর ধনু নিয়ে দল বেঁধে ব্রিটিশ সরকার প্রেরীত বন্ধুকধারী সৈনিকের পিছু পিছু ছুটে এলো চিলমারী থানার মানুষগুলোকে চিল পাখির হাত থেকে নিস্তার দেওয়ার জন্য। দল বেঁধে মানুষের বাতান নামলো চিলমারী থানার হাটে মাঠে-ঘাটে, আনাচে-কানাচে। দল বেঁধে তীর ধনু হাতে নিয়ে লোকজন যখন চিলমারীর পানে ছুটে আসছিল পথিমধ্যে অনেক না জানা লোক যখন দল বেঁধে এতগুলো লোককে আসতে দেখে জিজ্ঞেস করলো আপনারা এভাবে কোথায় চলছেন? তখন ঐ মানুষের মিছিল থেকে একটি উত্তর ভেসে আসতো চলো চলো চিল-মারী শ্লোগানের মতো। এই শ্লোগান থেকেই নাকি চিলমারী শব্দের উৎপত্তি হয়েছে এবং এলাকার নামককরণ হয়েছে আজকের চিলমারী। জনশ্রুতি-৩ থেকে জানা যায়, এক সময় ব্রহ্মপুত্র নদের উপকূল ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল এক নদী বন্দর। বড় নৌকা আর জল জাহাজ ভীড়তো এই নদী বন্দরটিতে। মালামাল খালাস করা হতো আবার জাহাজে নতুন করে মাল ভরে পাড়ি জমাতো অন্য বন্দরের পানে। ঐ সময় ব্রিটিশ প্রশাসন কর পরিশোধ করবার জন্য এই বন্দরটিতে একটি কাষ্টম অফিস স্থাপন করেছিল। কাষ্টম অফিসার যিনি ছিলেন তিনি কর পরিশোধ হওয়া মাত্রই মালের উপর সিল মেরে দিতেন। সেই সিল মারা দেখে অনেক অশিক্ষিত লোক তখন এই কাষ্টম অফিসটি সিল-মারী অফিস হিসেবে চিনতো। এই সিল-মারী কালের বিবর্তনে আজকের চিলমারী নামকরণ হয়ে গেছে। ব্রিটিশ শাসনের প্রারম্ভে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাহারবন্দ পরগনা এলাকায় নীল চাষের মাধ্যমে কৃষি শিল্পের শিল্পায়ন বিপ্লব ঘটিয়েছিল সেই নীলের কয়েকটি ফ্যাক্টরী ছিল তদানীন্তন রাণীগঞ্জে। নীল নামক পণ্য গোলাগুলোতে সিল মেরে রাখা হতো। অতপর জাহাজ বোঝাই করে বিদেশে চালান দেওয়া হতো। লেখক মোস্তফা তোফায়েল হোসেন বলতে চেয়েছেন এই সিল মারার জায়গা থেকে চিলমারীর নামকরণ করা হয়েছে। চিলমারী একটি নদী বন্দর হিসেবে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত ছিল। চিলমারী বন্দর একসময় আমদানি-রপ্তানি কেন্দ্রীক প্রাচীন বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু থাকলেও ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। দেশের হারানো ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নৌবন্দর ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে চিলমারী সফরে এসে এই নৌবন্দর চালুর প্রতিশ্রুতি দেন। বর্তমানে এই বন্দরটি আবারো চালু হয়েছে। এই এলাকার অর্থকারী ফসল: ধান, গম, আলু, পাট, বাদাম, তামাক, ভূট্টা ইত্যাদি।

এই উপজেলায় ২টি থানা, ০৬টি ইউনিয়ন, ১৬০টি গ্রাম, ৫৮টি মৌজাসহ ও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। দর্শনীয় স্থানগুলো যথাক্রমে- উদুনা-পুদুনার বিল, চিলমারী বন্দর (এখানে উত্তরাঞ্চলের একমাত্র ভাসমান তেল ডিপো অবস্থিত), ব্রহ্মপুত্র নদ, উষারাণীর বাড়ি (রাণীগঞ্জ), রাজারঘাট (রাণীগঞ্জ), ভক্তিভিটের ঘাট (কাঁচকল), চিলমারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বালাবাড়িহাট রেল স্টেশন- মুক্তিযুদ্ধের একটি যুদ্ধক্ষেত্র (বর্তমানে উক্ত স্থানে চিলমারী স্মৃতিস্তম্ভ) রয়েছে।


বর্তমানে এ উপজেলায় ৪৭টি প্রাথমিক সমবায় সমিতি ও ৩৪০৯ জন ব্যক্তি সদস্য রয়েছে। তাছাড়া চিলমারী উপজেলা ১৬ টি মহিলা সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিলমারী উপজেলা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা সমবায় সমিতি লিঃ। মহিলা সমিতির সদস্যগণ নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন পাটজাত হস্তশিল্প ও সেলাই কাজ করে নিজেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গৃহীত অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় চিলমারী উপজেলাধীন ০৬টি আশ্রয়ন প্রকল্পে ৩২০ টি পরিবারকে আবাসন সুবিধাসহ তাদের মাঝে ১৯,৯০,০০০/- টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।  তাছাড়া মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে খাস জমিতে একক গৃহ নির্মাণকৃত ১২টি ঘর নিয়ে ০১ (এক)টি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়েছে এবং উপজেলায় অন্যান্য একক গৃহ নিয়ে সমবায় সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


০১। চিলমারী উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের জনবন সম্পর্কিত তথ্যঃ

 

ক্রঃ নং

পদের নাম


মঞ্জুরীকৃত পদ

মোট কর্মরত পদ

মোট শূন্য পদ

উপজেলা সমবায় অফিসার


০১

০১

সহকারী পরিদর্শক


০২

০২

অফিস সহকারী কাম-কম্পিটার অপারেটর


০১

০১

অফিস সহায়ক


০১

০১

মোট =


০৫

০৪

০১


০২। সমবায় সমিতি সংক্রান্ত তথ্যাবলী নিম্নরুপঃ


ক্রঃ নং

সমিতির সংখ্যা

সদস্য সংখ্যা (প্রাথমিক)

কেন্দ্রীয়

প্রাথমিক

০১

৪৭

৩৪০৯